بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم

আসসালামু আলাইকুম

মুসলিম উম্মাহ নিহন (MUN) এর ওয়েবসাইটে স্বাগতম। ইসলামী মূল্যবোধ ও আখলাক উন্নয়নের মাধ্যমে নৈতিক, দায়িত্ববান ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে আমাদের পথচলা।

আমাদের সম্পর্কে

মুসলিম উম্মাহ নিহন (MUN) একটি জাপান ভিত্তিক সামাজিক ও সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠান, যা প্রবাসী মুসলিমদের নিয়ে গঠিত। ইসলামী জীবনধারা অনুসরণে উৎসাহ দেওয়া, শিক্ষা ও সহানুভূতির মাধ্যমে একটি সম্মানজনক সমাজ গড়াই আমাদের উদ্দেশ্য।

আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

এ সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের ব্যক্তিগত, নৈতিক ও সামাজিক জীবনের মান উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালে মহান আল্লাহ তায়ালার পূর্ণ সন্তুষ্টি অর্জন।

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আমাদের সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ পরিচয়

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

এ সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের ব্যক্তিগত, নৈতিক ও সামাজিক জীবনের মান উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালে মহান আল্লাহ তায়ালার পূর্ণ সন্তুষ্টি অর্জন।

কর্মসূচী

  • ১. দাওয়াত:ইসলামী আদর্শ অনুশীলনের জন্য মুসলমানদের প্রতি আহবান এবং অমুসলিমদের নিকট ইসলামের পরিচিতি তুলে ধরা ।
  • ২. সংগঠন: দনিজের ও সমাজের কল্যাণে দায়িতু পালন করতে আগ্রহী ব্যক্তিগণকে এসংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ করা।
  • ৩. শিক্ষা: ইসলামী জ্ঞান ও যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে জীবনকে উন্নত করার প্রচেষ্টা চালানো ।
  • ৪. সমাজ কল্যাণ: মানব সমাজের উন্নয়নে কল্যাণমূলক কাজ।
  • ৫.পারস্পরিক সম্পর্ক: : বিভিন্ন সংগঠন, ধর্মাবলম্বী, ভাষাভাষী ও প্রতিবেশীদের সাথে ব্যক্তিগত ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো ।

আমাদের করণীয়

আজকের এই অবস্থায় আমাদের উচিত ইসলাম সম্পর্কে জানা, কুরআন-হাদিস পড়া, মানুষের মুক্তির জন্য আল্লাহর পথে প্রাণান্ত চেষ্টা চালানো এবং সৎ কাজের আদেশ দেয়া ও অসৎ কাজ হতে বিরত রাখা। কিন্তু এ কাজটি একা একা করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা। আল্লাহ বলেন, “তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ়ভাবে ধারণ কর: পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।” (সূরা আলে ইমরান-১০৩) হযরত উমর (রা) তাই বলেছেন, “সংগঠন ছাড়া ইসলাম হয় না।”জাপান একটি অমুসলিম দেশ। প্রায় ১২৫মিলিয়ন মানুষের বসতি এদেশে।ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেনি বিশাল এই জনগোষ্ঠির মাঝে।জাপানে বসবাসরত মুসলিমদের ঈমানী দ্বায়িত্ব রয়েছে তাদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছিয়ে দেয়া।তাই মুসলিম ও অমুসলিম নির্বিশেষে সকল মানুষের নিকট ইসলামের আহ্বান পৌছিয়ে দিয়ে সৎ,দক্ষ,আদর্শ চরিত্রবান ও আল্লাহ ভীরু নাগরিক তৈরি করার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুসলিম উম্মাহ নিহন।

“وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا”
(সূরা আলে ইমরান ১০৩)

পরকালের মুক্তির পথ

জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে মুক্তি এবং চিরস্থায়ী জান্নাত লাভের পথনির্দেশনা আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন। তাঁর কালামের ভাষায়, “তোমরা আল্লাহর রাস্তায় জান ও মাল দিয়ে সংগ্রাম কর। এটিই হবে তোমাদের জন্য কল্যাণকার, যদি তোমরা বুঝ। তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করা হবে, আর তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; যার তলদেশে আছে ঝর্ণাধারা।”

(সূরা আস-সাফ ১১–১২)

জাপানে আমাদের দায়িত্ব

জাপান অমুসলিম দেশ; ~১২৫ মিলিয়ন মানুষের দেশে ইসলামের দাওয়াত এখনো পৌঁছেনি বহু মানুষের কাছে। মুসলিমদের ঈমানী দায়িত্ব—সবার নিকট ইসলামের আহ্বান পৌঁছানো।

মানুষের পরিচয়

কি সুন্দর আমাদের এই পৃথীবি।পাহাড় নদী,শ্যামল শস্য ভূমি,ফুল পাখি আরো কতো কি?বিশ্বের প্রতিটি অণু-পরমাণু মেনে চলছে আল্লাহর আইন। এই শৃংখলার কোন ব্যতিক্রম নেই।মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব।মানুষকে দিয়েছেন বিশেষ মর্যাদা।দিয়েছেন ইচ্ছার স্বাধীনতা।এই স্বাধীনতা থাকা স্বত্তেও মানুষ যেন আল্লাহর পথের বেছে নিতে পারে।খারাপ কাজ করার ক্ষমতা ও স্বাধীনতা থাকা স্বত্তেও যাতে নিজের ইচ্ছায় আল্লাহর বিধানকে মেনে নিতে পারে।মানুষের পরিচয় হলো আল্লাহর প্রতিনিধি ।আল্লাহ বলেন ফেরেশতাদের ডেকে বললেন,”আমি পৃথীবিতে আমার খলিফা বা প্রতিনিধি প্রেরন করবো।(সূরা বাকারাহঃআয়াত ৩০) ।প্রতিনিধির কাজ হলো আল্লাহর প্রদত্ত দ্বায়িত্ব মেনে চলা এবং প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর নিকট জবাবদিহি করা।

(সূরা বাকারা ৩০)

পৃথিবীতে অশান্তির কারণ

কিন্তু এই দুনিয়ার দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই মানুষে মানুষে আজ সৃষ্টি হয়েছে,ভেদাভেদ,হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ। অমানুষের সমাজে সে ঐক্য কোথায়? কোথায় সে শান্তি? এর কারণ কি? আগেই বলা হয়েছে, ভাল ও মন্দ কাজ করার ইচ্ছাটা পুরোপুরি মানুষের। আল্লাহ মানুষের উপর জোর করে তার বিধান চাপিয়ে দিতে চান না। বরং আল্লাহ দেখতে চান মানুষ তার নিজের ইচ্ছায় তাঁর বিধান বা এই শান্তির পথকে বেছে নেয় কিনা। যখন মানুষ এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে আল্লাহর পথ থেকে সরে গেছে, তখনই নেমে এসেছে মানুষের জীবনে বিপর্যয় ও অশান্তি।

মানুষের জীবন বিধান

আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে পাঠালেন। সাথে দিলেন তার পক্ষ থেকে হেদায়েত। মানুষ যখনই তার দেয়া হেদায়াত ভুলে পথভ্রষ্ট হয়েছে তখনি আল্লাহ পাঠিয়েছেন নবী ও রাসূল । সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) তিনি খাতামুন্না বিয়্যিন,সাইয়্যেদুল মুরসালীন। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেনা। তিনি মানুষের কাছে নিয়ে এসেছেন হেদায়েত গ্রন্থ আল-কুরআন। আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবনব্যবস্থা ইসলামকে তাঁর মাধ্যমে পরিপূর্ণতা দান করেছেন। আল্লাহ বলেন "আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাজ্ঞ করে দিলাম এবং আমার নেয়ামত পূর্ণ করলাম।(আল মায়েদাহ:৩ )

“আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম...” (আল-মায়িদা ৩)

মুসলিমের পরিচয়

মুসলমানের ঘরে জন্ম গ্রহন করলেই মুসলিম হওয়া যায়না। মুসলমানের মতো নাম রাখলেই তাকে মুসলমান বলা যায়না। ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হতে হয়। ইসলাম গ্রহণ করলেই কেবল মুসলমান হওয়া যায়না। আর এই ইসলাম গ্রহণের অর্থ আমি মুসলমান হয়েছি কিংবা আমি মুসলমান এই কথা বলা নয়।

ইসলাম গ্রহণের অর্থ

  • (ক)হযরত মুহাম্মদ (সা:)এর শিক্ষাকে অন্তরের সাথে সত্য বলে গ্রহণ করা ;
  • (খ )নিজের জীবনে এই শিক্ষাকেই একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নেয়া , এবং
  • (গ )এই ব্যবস্থা অনুযায়ী পুরো জীবনকে গড়ে তোলা। আল্লাহ তাঁর কিতাব এবং তাঁর রাসূলের মাধ্যমে আমাদেরকে যে সমস্ত বিষয় বিশ্বাস করতে বলেছেন তা বিশ্বাস করার অর্থ হলো ঈমান।আর এই বিশ্বাসের আলোকে জীবনের প্রতিটি কাজ করার নাম ইবাদত বা দাসত্ব।

মানুষ কর্তব্য ভুলে গেছে

আজ মানুষ ভুলে গেছে তার পরিচয়। মুসলমান বিস্মৃত হয়েছে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে।ফলে সর্বত্র চলছে অনাচার ,অবিচার,ও অশান্তির প্রবলস্রোত।মানুষে মানুষে চলছে হানাহানি ,কাটাকাটি ও হিংসা - বিদ্ধেষ। অসংখ্য মানুষ অন্ন,বস্ত্র ,বাসস্থান, ও চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে।মানবরচিত বিভিন্ন মতবাদ যেমন সমাজতন্ত্র ,বস্তুবাদ,সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ,নাস্তিক্যবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের ধ্বজাধারীদের অসারতা এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের কর্ম ব্যর্থতা সকলের সামনে আজ দিবালোকের মতো ফুটে উঠেছে।পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণে শোষণ ও বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে।রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে চলছে সভ্যতা বিধ্বংসী মারণাস্ত্রের প্রতিযোগিতা। যাদের মুখে শুনা যায় শান্তি ও মানবাধিকার রক্ষার অমিও বাণী তারাই দেশে দেশে চালাচ্ছে আগ্রাসন এবং ধ্বংসযজ্ঞ।নির্যাতিত ও নিপীড়িত অসহায় মানুষ আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করছে মুক্তির জন্য।

সকল মানুষকে এই পৃথিবী থেকে একদিন বিদায় নিতে হবে

সকল মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। ফিরে যেতে হবে মহান আল্লাহর কাছে। কেয়ামতের প্রবল প্রলয়ে সমস্ত কিছু ধ্বংসের পর মানুষের ভালো -মন্দের বিচারের সময় এসে যাবে। সেদিন অবশ্যয় সকলকে দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় তার ভূমিকা ও কাজ সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে।সেদিন যাদের ভালো কাজের পরিমান বেশি হবে তারাই মুক্তি পাবে,পুরস্কার হিসেবে পাবে সার শান্তির জান্নাত। আর যাদের মন্দ কাজের পাল্লা ভারী হবে ,তারা পাবে অবর্ণনীয় আজাবে ভরপুর চির দুঃখের জাহান্নাম।আল্লাহ তায়ালা বলেন "“তারপর যার (ভালো কাজের) পাল্লা ভারী হবে, সে মনের মতো সুখী জীবন লাভ করবে। আর যার (ভালো কাজের) পাল্লা হালকা হবে, তার আবাস হবে গভীর খাদ। আর তুমি কি জানো সেটি কি? (সেটি) জ্বলন্ত আগুন।” (আল কারিয়া :৬-১১)

আমাদের আহ্বান

মুসলিম ও অমুসলিম নির্বিশেষে সবার নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে সৎ, দক্ষ, আদর্শ চরিত্রবান ও আল্লাহভীরু নাগরিক গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

Our Programs & Events

Latest Events